১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া

আমরা অনেকেই আছি যারা ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছি কিন্তু কি ব্যবসা করব, কিভাবে করব, কোথায় করব কেমন পুঁজি লাগবে কিছুতেই বুঝতে পারছি না। তাদের জন্য আজকে স্বল্প পুঁজিতে  অর্থাৎ ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে চলে আসলাম। এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন অনলাইনে ও অফলাইনে কিভাবে স্বল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করবেন। আশা করছি আপনারা ধৈর্য সহকারে পড়বেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক- 

পোস্ট সূচিপত্রঃ  ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া 

ব্যবসা কি? ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া 

ব্যবসার আইডিয়া আপনাদের সাথে সহভাগিতা করার আগে সর্ব প্রথমে আমি যে বিষয়টি সম্পর্কে বলব তা হলো ব্যবসা কি? ব্যবসা মানে হলো একটি পেশা যেটির মাধ্যমে মালিকপক্ষ ভোক্তাগণের চাহিদা পুরণের লক্ষে অর্থের বিনিময়ে অর্থাৎ নির্দিষ্ট পরিমাণ লাভ রেখে পণ্য বা সেবা ক্রয় বিক্রয় করে থাকে। এই ব্যবসা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। এই পোস্টে আমরা প্রায় ২৫টি ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করব। 

মূলধন কি?

আমাদের এই পৃথিবীতে অনেক ধরণের ব্যবসা রয়েছে এবং সব ধরণের ব্যবসা করতেই পুঁজি বা মূলধন দরকার হয়। আপনি কোনো একটি ব্যবসা শুরু করার আগে যে পরিমাণ অর্থ আপনার ব্যবসাতে বিনিয়োগ করবেন সেটিই হলো আপনার মূলধন। আরো সহজ করে বলতে গেলে-মনে করেন আপনি একটি মুদি দোকান দিবেন। আপনার দোকানের জন্য আপনাকে বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী কিনতে হবে। মনে করেন আপনি ৫০০০ টাকার জিনিস পত্র কিনেছেন। সেই ৫০০০ টাকাই হলো আপনার মূল্ধন।আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। মূলধন ছাড়া কোনো ধরণের ব্যবসা শুরু করা বা পরিচালনা করা সম্ভব নয়। অর্থাৎ মূলধন হলো একটি ব্যবসার মূল চালিকাশক্তি। 

আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং জগতে সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর কোনটি এবং কেন?

ব্যবসা মূলত দুইভাবে করতে পারবেন।একটি হলো অনলাইন ভিত্তিক এবং আরেকটি হলো অফলাইন ভিত্তিক। অনলাইনে ব্যবসা করতে চাইলে আপনার কিছু ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ক্রয় করতে হবে। আর আপনি যদি অফলাইনে ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনাকে একটি উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করতে হবে। তাহলে চলুন শুরুতে আলোচনা করি অনলাইন ভিত্তিক অল্প পূঁজির ব্যবসা কিভাবে করবেন।

অনলাইন ভিত্তিক অল্প পুঁজির ব্যবসা

আপনি যদি অনলাইন সম্পর্কে ভালো বোঝেন তবেই অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে পারেন। অন্যথায় এটি আপনার জন্য শুভ হবে না বা উচিৎ হবে না। অনলাইনে আপনি যে সমস্ত ব্যবসা করতে পারবেন তা নিচে তুলে ধরা হলো- 

অনলাইনে বিভিন্ন বই, পণ্য বিক্রয়

অনলাইনে আপনি বিভিন্ন ধরনের বই বিক্রয় করতে পারবেন। প্রথমে এর আপনাকে একটি ফেসবুক পেজ খুলতে হবে এবং এটিকে মার্কেটিং করতে হবে। আপনার ফেসবুক পেজ এর মাধ্যমে আপনি আপনার কাস্টমারদেরকে জানান দিবেন যে আপনি কি ধরনের বই বিক্রয় করে থাকেন। কেউ বই ক্রয় করতে চাইলে কিভাবে বইটি ক্রয় করবে। বইটি আপনাদের কাস্টমারের কাছে পৌছাতে কত সময় লাগবে ইত্যাদি বিষয় গুলো আপনার পেজে উল্লেখ থাকতে হবে। অর্থাৎ আপনার এই ফেসবুক পেজটি আপনার দোকান হিসেবে কাজ করবে। বর্তমানে বইয়ের চাহিদা প্রচুর রয়েছে। আপনি যদি আপনার কাস্টমারদের চাহিদা অনুযায়ী বই ডেলিভারী দিতে পারেন তাহলে আপনি এই ব্যবসায় খুব অল্প সময়েই লাভবান হতে পারবেন। সব মিলিয়ে আপনার ৮০০০ থেকে ১০০০০ টাকার মধ্যেই এই অনলাইনের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। ভবিষ্যতে আপনি আরো কিছু টাকা ইনভেস্ট করতে পারবেন। তবে শুরুর দিকে ১০০০০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে শুরু করাই ভালো। 

অনলাইন শিক্ষকতা

বর্তমানে পড়াশুনার চাহিদা প্রচুর বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের ভালো শিক্ষা দেওয়ার জন্য ভালো শিক্ষক পাচ্ছেন না। আর আমাদের দেশের জনসংখ্যা বেশি হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যাও বেশি যার কারণে কোনো এলাকায় ছাত্র-ছাত্রী বেশি আবার কোনো এলাকায় কম। যেসব এলাকায় ছাত্রছাত্রী বেশি সেসব এলাকায় শিক্ষক কম। আবার অনেক অভিভাবক আছে যারা তাদের সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে অনেক চিন্তায় থাকে। তাদের জন্যই মূলত অনলাইন শিক্ষক প্রয়োজন হয়। এর জন্য আপনাকে অনলাইনে একটি ফেসবুক পেজ বা ইউটিউব চ্যালেন খুলতে হবে এবং এটিতে আপনার সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে আপনার সেবা সম্পর্কে উপস্থাপন করতে হবে। যাতে তারা আগ্রহী হয়ে আপনার সাথে যোগাযোগ করে তাদের সন্তানদের ভালো শিক্ষা দিতে পারে। 

অনলাইন বেকারি

বেকারি পণ্য বলতে বিস্কুট, রুটি, চানাচুর, বিভিন্ন ধরণের নারু ইত্যাদি বোঝায়। বিশেষভাবে যেগুল পণ্য মুদিখানা দোকানে বেশি বিক্রয় হয়ে থাকে। আমাদের বাংলাদেশে অনেক দোকান রয়েছে তারা বেশিরভাগ সময় তাদের চাহিদামতো পণ্য পায় না। তাদের সাথে অনলাইনে যোগাযোগ করে এই অনলাইন বেকারির ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন। তবে এর জন্য আপনাকে যেটি করতে হবে তা হলো- 

আরো পড়ুনঃ ওয়ার্ক আপ জব বাংলাদেশ I Work up job Bangladesh

প্রথমে আপনাকে একটি ফেসবুক পেজ খুলতে হবে। তারপর এটিকে মার্কেটিং করতে হবে। এই পেজের মধ্যে আপনাকে আপনার পণ্য সম্পর্কে ভালো একটি ধারনা দিতে হবে যে তারা আপনার প্রতি বিশ্বস্ত হতে পারে। ব্যবসা সম্প্রসারণের একটি মূল বিষয় হলো বিশ্বাস। আপনার এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে যদি ভালো বিশ্বাস স্থাপন করতে না পারেন তাহলে আপনি ব্যবসায় কখনো উন্নতি করতে পারবেন না।  

দ্বিতীয়ত আপনাকে আপনার পণ্য ডেলিভারির জন্য একটি যানবাহন ব্যবস্থা থাকতে হবে। তা না হলে আপনি অর্ডার পাবেন ঠিকি কিন্তু পণ্য ব্যবসায়ীদের নিকট সময়মত পৌছায় দিতে পারবেন না। তবে শুরুতে একটু কষ্ট হলেও এই পণ্য ডেলিভারির কাজটা নিজে করলে ভালো। কারণ ডেলিভারির জন্য যদি অন্য আরেকজনকে নিয়োগ দেন তাহলে আপনার খরচ আরো বাড়তে পারে। তাই শুরুতে এই কাজটি আপনাকেই করতে হবে। আর আপনার যদি মূলধন বেশি থেকে থাকে তাহলে পণ্য ডেলিভারির জন্য একজন লোককে নিয়োগ দিতে পারেন। এই ব্যবসার কাঁচামাল ক্রয় করতে এবং অন্যান্য সামগ্রী ক্রয় করতে ১০০০০ টাকা হলেই যথেষ্ট। 

অনলাইনে হস্তশিল্প সামগ্রী বিক্রয়

আপনি যদি মাটি দিয়ে, বাঁশ দিয়ে, পাট দিয়ে বিভিন্ন নান্দনিক জিনিসপত্র বানাতে পারেন তাহলে এই ব্যবসাটি আপনার জন্য বেস্ট হবে। এই ধরনের জিনিসপত্রের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কারণ আমরা জানি যে বাংলাদেশের মানুষ সৌন্দর্যের পূজারী। মানুষ তাদের বাড়ী ঘর, রেস্তোরা সাজাতে এগুলো পণ্য বেশি ব্যভার করে থাকে। এটির চাহিদা ভবিষ্যতেও বৃদ্ধি পাবে।সুতরাং এটি একটি লাভজনক ব্যবসা। এর জন্য আপনাকে শুধুমাত্র অনলাইনে আপনার পণ্যের প্রচার করতে হবে এবং কাস্টমারদেরকে আপনার পণ্য ক্রয়ে আগ্রহী করে তুলতে হবে। আর আপনি যদি এগুলো জিনিসপত্র তৈরী করতে না পারেন তাহলে আপনাকে কারিগরদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের সাথে একটি চুক্তি করে নিবেন তাহলে আপনার জন্য ভালো হবে। এই ব্যবসাটির জন্য ১০০০০ টাকা হলেই যথেষ্ট। ভবিষ্যতে আপনার ব্যবসাটির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেলে আরো কিছু অর্থ বিনিয়োগ করতে পারেন। 

কন্টেন্ট রাইটিং বা আর্টিকেল রাইটিং 

অনলাইনে বিভিন্ন বিষয়ের উপর আর্টিকেল লিখেও অনেক টাকা আয় করা সম্ভব। যাদের লেখালেখি করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ের উপর অনায়াসেই লেখালেখি করতে পারেন তারা এই কাজটি করতে পারেন। কিভাবে কন্টেন্ট রাইটিং বা আর্টিকেল রাইটিং করবেন তার সমস্ত কিছু নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে দেখে নিন।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট 

সোশ্যাল মিডিয়া বলতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে বোঝায়। যেমন-ফেসবুক,ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম, পিন্টারেস্ট, টুইটার, লিঙ্কডিন ইত্যাদি। এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও ব্যবসা করে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। এর জন্য আপনাকে ফেসবুকে একটি পেজ খুলতে হবে এবং ইউটিউব চ্যানাল খুলতে হবে। তারপর আপনাকে এই পেজে বা চ্যানেলে আপনার কাঙ্ক্ষিত পণ্য বা সেবা সম্পর্কে কাস্টমারদেরকে ধারণা দিতে হবে। তাহলে তারা আপনার পণ্য ক্রয়ের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করবে এবং আপনার বিক্রয় বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে একটি বিজনেস খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সেটি হলো রিসেলিং এর বিজনেস। অর্থাৎ অন্য কোম্পানীর পণ্য আপনি আপনার মতো করে বিক্রয় করে দিবেন আর কোম্পানী আপনাকে সেই পণ্য বিক্রয়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে কমিশন প্রদান করবে। এর জন্য আপনাকে কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। শুধুমাত্র বাড়িতে বসেই আপনি এই ব্যবসাটি পরিচালনা করতে পারবেন।  

অফলাইন ভিত্তিক অল্প পূঁজির ব্যবসা

আমাদের দেশে অনেক ধরনের ব্যবসা রয়েছে যেগুলো অল্প পুঁজি দিয়েই অধিক পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা যায়। শুধুমাত্র এর জন্য দরকার একটি সুন্দর পরিবেশ এবং উপযুক্ত স্থান। এগুলো ব্যবসা করার জন্য খুব বেশি পরিমাণ অর্থ দরকার হয় না। ১০০০০ টাকার মধ্যে হলেই হয়ে যায়। এবং এগুলো ব্যবসার মধ্যে অনেক ব্যবসা আছে যেগুলো করতে সারাদিন বসে থাকার প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র ৪ থেকে ৫ ঘন্টা বসে থাকলেই যথেষ্ট। এ ধরনের ব্যবসার লিস্ট নিচে দেওয়া হলো- 

ফলের জুস 

এই ধরনের ব্যবসার জনপ্রিয়তা অনেক রয়েছে। মানুষ তাদের কর্ম ক্লান্তি দূর করার জন্য বিভিন্ন ফলের জুস খেয়ে থাকে। এই ব্যবসা করার মূল পয়েন্ট হলো যেখানে জনসমাগম বেশি। যেমন-পার্কের মোড়ে, নদীর ধারে, কোনো বাজারে ইত্যাদি। এর জন্য শুধুমাত্র আপনাকে কিছু কাঁচামাল, মেশিনারিজ জিনিসপত্র ক্রয় করতে হবে। তাহলেই আপনার এই ব্যবসাটি রানিং করতে পারবেন।

চায়ের দোকান

চায়ের দোকানের জন্য আপনাকে একটি সুন্দর মনোরম পরিবেশের মধ্যে দোকান স্থাপন করতে হবে। যেমন গ্রামের বাজারে বা মোড়ে যেখানে মানুষ সারাদিনের কাজ শেষ করে ওখানে মিলিত হতে পারে এবং আলোচনা করতে পারে। আমরা এখনো গ্রামে এই দৃশ্যটি লক্ষ করা যায়। আবার এই ব্যবসাটি আপনি কোনো পার্কের সামনেও করতে পারেন এতে করে আপনার ব্যবসা খুব দ্রুত সম্প্রসারণ হবে। এর জন্য শুরুতে ৫০০০ টাকা হলেই আপনি ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন। 

দর্জির দোকান

বর্তমানে এই দর্জির দোকানের চাহিদা অনেক রয়েছে। এই ধরনের ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে একটি দোকান ঠিক করতে হবে এর সাথে আপনাকে একটি সেলাই মেশিন এবং কিছু সুতা ক্রয় করতে হবে। তাহলেই আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।  বর্তমানে গ্রামে বা শহরে অনেক মানুষ রয়েছে যারা সিট কাপড়ের শার্ট প্যান্ট পরতে পছন্দ করে। আবার অনেক মেয়ে আছে যারা নিজেদের পছন্দে কাপড় পরতে পছন্দ করে। এই কাজটি আপনি আপনার গ্রামে বসেও করতে পারেন। এতে করে আপনার কষ্ট করে আর দোকান ভাড়া করতে হবে না। নিজের বাড়িতে বসেই আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।

বিউটিশিয়ান 

আমাদের দেশে বর্তমানে এই সেক্টরের চাহিদা অনেক। আমাদের দেশের গ্রামে শহরে অনেক বিয়ে, জন্মদিনসহ বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। তখন তাদেরকে অনেক দূরে যেতে হয়। তাদের সুবিধার্তে আপনি যদি আপনার এলাকার কাছের কয়েকটি গ্রাম টার্গেট করে এটি শুরু করতে পারেন। আর যদি এই বিষয়ে পারদর্শী না হয়ে থাকেন তাহলে কষ্ট করে হলেও আপনি একটি ট্রেনিং করে নিন। তাহলে আপনার কাজ করতে কোনো ধরনের সমস্যা হবে না।

নাচ, গান, বা আঁকার স্কুল

আপনার যদি নাচ, গান বা ছবি আঁকার প্রতিভা থাকে তাহলে আপনি আপনার বাসায় বা আপনার নিকটস্ত কোনো জায়গায় এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করতে পারেন। বর্তমানে ছেলেমেয়েদের এই বিষয়গুলোতে অনেক আগ্রহ লক্ষ করা যায়। এই ধরনের স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে খুব একটা মূল্ধনের প্রয়োজন হয় না। তাই আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। 

বিদেশী ভাষা শিক্ষা

আমাদের দেশে অনেক মানুষ আছে যারা দেশের বাইরে গিয়ে কাজ করতে চায়। তারা ভাষা শিখার জন্য অনেক জায়গায় কোর্স করে কিন্তু সঠিক গাইড লাইন পায় না। তাদের জন্য আপনি একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান খুলতে পারেন। এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার খব বেশি জনবলের প্রয়োজন হবে না। আপনি একাই এই ব্যবসাটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

ওয়েডিং প্ল্যানার

আপনি যদি বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পর্কে ভালো বোঝেন। কিভাবে বিয়ে বাড়ি সাজাতে হবে। কিভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান পার করবেন অর্থাৎ আপনার মধ্যে যদি সমস্ত জ্ঞান থেকে থাকে তাহলে এই ব্যবসাটি আপনার জন্য বেস্ট ব্যবসা হবে বলে আমি মনে করি। 

খামার ও মাছ চাষ 

বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষ মাছের চেয়ে মাংস বেশি খায়। এজন্য আপনি যদি স্বল্প পরিসরে একটি মুরগির খামার তৈরি করতে পারেন তাহলে এটি আপনার জন্য ভ্লো হবে কারণ বর্তমানে মুরগির চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর পাশাপাশি যদি আপনি মাছ চাষ করতে পারেন তাহলে আপনি কম খরচে মাছ চাষ করে লাভবান হতে পারবেন। কারণ হাঁস মুরগির বিস্টা মাছের জন্য ভালো একটি খাবার। এটি করলে আপনার খরচ অনেক খানি বেঁচে যাবে। 

লাইব্রেরী

বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা তাদের প্রয়োজনীয় বই সঠিক সময়ে পায় না। তাদের সুবিধার জন্য এবং আপনার আয়ের জন্য আপনি গ্রামের কোনো এক বাজারে একটি লাইব্রেরী স্থাপন করতে পারেন। এই ব্যবসা শুরু করার জন্য ১০০০০ টাকাই যথেষ্ট। পরবর্তীতে চাহিদা বৃদ্ধি পেলে আপনি আরো কিছু টাকা ইনভেস্ট করতে পারেন।

ফ্লেক্সিলোড ও মোবাইল সার্ভিসিং 

আমাদের বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা হলো ১৭ কোটি ৪৭ লাখ। ২০২৪-২০২৫ জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রায় ৯১ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। তাহলে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন মোবাইল ফোনের চাহিদা কেমন। বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেকটা ঘরে ঘরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হয়। আপনি আপনার এলাকায় জরিপ করে দেখেন যে কতগুলো পরিবার আছে বা গ্রাম আছে। তাদের মোবাইলে ফ্লেক্সিলোড দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। এই ফ্লেক্সিলোডের চাহিদা প্রচুর। পৃথিবী যতদিন থাকবে এই ব্যবসাও ততদিন থাকবে। একবার যদি আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন এবং উন্নতি করতে পারেন তাহলে আপনাকে আর কখনো পেছনে ফিরে দেখতে হবে না। এই ব্যবসার জন্য খুব বেশি মূলধনের প্রয়োজন হয় না। 

আপনি চাইলে এই ফ্লেক্সিলোডের পাশাপাশি মোবাইল সার্ভিসিং এর কাজটাও করতে পারেন। কারণ যেহেতু বাংলাদেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি সেহেতু বুঝতেই পারছেন মোবাইল সার্ভিসিং এর ব্যবসা কেমন চলতে পারে।

এছাড়াও আপনি অল্প পূঁজিতে যেগুলো ব্যবসা করে সফলতা অর্জন করতে পারবেন তা হলোঃ
  • ফার্মেসী 
  • মুদি দোকান 
  • উপহার সামগ্রী 
  • মিনারেল ওয়াটারের ব্যবসা
  • ফটোকপির দোকান 

শেষ কথাঃ ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া 

সবশেষে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এই "১০ হাজার টাকায় ২৫টি ব্যবসার আইডিয়া" পোস্টটি পড়ার জন্য। আশা করি আপনি এই পোস্টটি পড়ে কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছেন। যদি কোনো ভুল থেকে থাকে তাহলে বিশ্বাস করি যে সেটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। "PM DREAM IT" সম্পর্কে আপনার যদি কোনো মন্তব্য, পরামর্শ থেকে থাকে তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।






এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পি এম ড্রিম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url