পি এম ড্রিম আইটি ব্লগ ওয়েবসাইটের প্রধান এডমিনের সম্পর্কে জানুন
প্রাইমারী জীবন
আমার নাম পঙ্কজ যোসেফ মুরমু । আমার বয়স যখন ৪ বছর তখন আমার বাবা আমাকে সেন্ট ফ্রান্সিস প্রাইমারী স্কুলে ভর্তি করে দিলেন। প্রথমের দিকে স্কুলে যেতে ভালই লাগত কিন্তু কয়েকমাস পর আর স্কুলে যেতে ভালো লাগত না। কারণ পড়া না পারলে আমাদের শিক্ষক শুধু মারত। আবার স্কুলে না গেলে বাবা মারত। তখন আর কোনো উপাই না দেখে স্কুলে যেতে হত। অনেক সময় স্কুল পালিয়ে ফুটবল খেলতে চলে যেতাম। যখন মা আমার এই পাগলামিটা ধরতে পারলেন তখন প্রথমে আমাকে সাবধান করে দিতেন কিন্তু আমি তা শুনেও না শুনার ভান করে থাকতাম আর স্কুল ফাকি দেওয়া চালিয়ে যেতাম। মা অনেকবার বারণ করার পরেও যখন যেতাম তখন মা বাবাকে বলে দিত, তখন আমাদের বাড়িতে শুরু হত কেলানি পর্ব।
হাই স্কুল জীবন
যাই হোক কোনো রকম করে আমি পঞ্চম শ্রেণিটা পাশ করে ভর্তি হলাম মুক্তিদাতা জুনিওর হাই স্কুলে। সেখানে দাদির সাথে থাকতাম আর স্কুলে যাওয়া আসা করতাম। সেখানেও স্কুল ফাঁকি দেওয়ার অভ্যাসটা বেড়ে গিয়েছিল যার জন্য ওখানেও বেশি দিন টিকতে পারেনি। সেখানে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করেছি। ষষ্ঠ শ্রেণি পাশ করার পরেই বাবা বললেন যে তোমাকে বোর্ডিং যেতে হবে। যেই কথা সেই কাজ। আমাকে বনপাড়া, নাটোরে পাঠালেন এবং সেন্ট যোসেফ স্কুল এন্ড কলেজে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি করলেন। সেখানে আমাদের মিশনের একটা বোর্ডিং আছে যেটা বনপাড়াতে অবস্থিত। সেখানে বোর্ডিং এ থেকে অনেক ধৈর্য ধরে এস এস সি পর্যন্ত পড়াশুনা করলাম। এস এস সি পাশ করার পর চলে গেলাম ঢাকা আসাদ গেটে। সেখানেও একটা হোস্টেলে উঠেছিলাম। সেখানে সেন্ট যোসেফ হাইয়ার সেকেন্ডারি স্কুলে কলেজে ভর্তি হলাম। সেখানে দুই বছর থাকলাম, পড়াশুনা শেষ করে বাড়িতে ফিরে আসলাম।
আরো পড়ুন ঃ ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং জগতে সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর কোনটি এবং কেন?
বিশ্ববিদ্যালয় জীবন
তারপর কি করবো অনেক ভাবলাম। অনেক ভাবাভাবির পর অনার্স এ অর্থনীতি বিষয়ের উপর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পড়াশুনা চালিয়ে গেলাম। বর্তমানে আমি অনার্স চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত আছি।
কর্মজীবন
পড়াশুনার পাশাপাশি কিছু করা যাই কি না তা ভাবতে ভাবতে প্রাইমারী স্কুলের ছাত্র-ছাত্রিদের প্রাইভেট পড়ানো শুরু করলাম। বর্তমানে আমি দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছেলেমেয়েদের প্রাইভেট পড়ায়। সেই সাথে জীবনে আরো ভাল কিছু করার জন্য অনেক কিছু করার উদ্যোগ নিয়েছি। তার মধ্যে প্রথম ধাপটি হলো ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা উপার্জন করা। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে গত ২৫/০১/২০২৫ তারিখে রাজশাহীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং আইটি কোম্পানির সাথে পরিচিত হলাম যার নাম হলো অর্ডিনারি আইটি। এটি একটি ডিজিটাল মার্কেটিং কোম্পানি। এই প্রতিষ্ঠানে এসে আমি আমার জীবনের আর একটি নতুন অধ্যায় শুরু করলাম। আমি ভবিষ্যতে একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার হয়ে অর্ডিনারি আইটির মতো একটি আইটি কোম্পানি খুলতে চাই যাতে করে আমাদের দেশের বেকারত্ব কিছুটা হলেও লাঘব করতে পারি।
নিচে আমার ছবি দেওয়া হলো।
পি এম ড্রিম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url